শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কার্যালয়ে অভিযোগ বক্স স্থাপনে প্রশংসিত কলাপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রার কুয়াকাটায় এক ইলিশ বিক্রি ৯ হাজার টাকা টাইফয়েড টীকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা ।। মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ পটুয়াখালী দুমকিতে কিশোর চোরকে প্রহৃত করায় দোকানদার গ্রেপ্তার বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটক মেলা কলাপাড়ায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, জুলাইযোদ্ধা  কাফির বাড়িতে জেলা প্রশাসন বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে জামায়াতের বৃক্ষরোপণ যেকোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখা হবে ।। মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল ট্রলি ও দিলো না, চাদরে মুড়িয়ে মরদেহ নিল পরিবার কলাপাড়ায় ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী “শিলা রানীর” সংবাদ সন্মেলন কলাপাড়ায় বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন ও রচনা প্রতিযোগীতা কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এসেছে মৃত ইরাবতী ডলফিন বাউফলে সরকারি রাস্তা দখল করে বসত ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ কলাপাড়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত ম/র/দে/হ উদ্ধার
গ্রাম বাংলার উপকারী তালগাছ রোপনে নেই কারো আগ্রহ!

গ্রাম বাংলার উপকারী তালগাছ রোপনে নেই কারো আগ্রহ!

Sharing is caring!

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গ্রাম বাংলার সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী তালগাছ কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। তালগাছে এখন আর দেখা যাচ্ছে না বাবুই পাখির বাসা। বাংলা সাহিত্যে তালগাছ নিয়ে রয়েছে নানা গল্প, কবিতা ও ছাড়া। এক সময় উপকূলীয় গলাচিপার বিভিন্ন বাড়ি ও রাস্তার দুপাশে সারি সারি তালগাছ দেখা যেত। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে পারছে না তালগাছ। বর্তমানে ঢাক ঢোল পিটিয়ে তালগাছ রোপনের জন্য জনে জনে অনুরোধ করলেও সাধারণের মধ্যে সেই আগ্রহ আর দেখা যাচ্ছে না।
জানাগেছে, তালগাছ পাম গোত্রের অন্যতম একটি দীর্ঘ গাছ। এটি ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। একটি তালগাছ সাধারণত একশ’ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে।
তাল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল । তালের বীজ ও ফল দুটোই খাওয়ার উপযোগী। কাঁচা তালের বীজ বা শাঁস খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। কাঁচা তালের শাঁস মানুষের শরীরের চাহিদা মেটায়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, পটাশিয়াম, জিংক ও ক্যালসিয়ামসহ নানা খনিজ উপাদান। তালের রস দিয়ে গুড়, মিছরি ও তাড়ি তৈরি করা হয়। পাকা তালের মিষ্টিগন্ধে মন ভরে ওঠে। পাকা তালের শাাঁসও খেতে খুব সুস্বাদু এবং তাতেও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। গ্রাম বাংলায় পানি দিয়ে গোলানো পাকা তাল আগুনের তাপে ঘন করে তার সাথে দুধ, নারিকেল বাটা ও চিনি বা গুড় মিশিয়ে তালদুধ নামের একটি সুস্বাদু তরল খাবার তৈরি করা হয়। এ তালদুধ এখনো গ্রাম বাংলায় ভাতের সাথে খাওয়ার প্রচলন আছে। পাকা তাল দিয়ে বিভিন্ন রকমারী পিঠা তৈরি করা হয়। তালের পিঠা পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। গ্রীষ্মের তাপদাহে শীতল পরশ বুলায় তাল পাতার হাত পাখা। তাল গাছের পাতা দিয়ে ঘরের ছাউনী, পাখা ও মাদুরসহ বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা তৈরি করা যায়। তালগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় ঘর ও নৌকা। এক কথায় তালগাছ একটি উপকারী ও প্রয়োজনীয় গাছ। বিশেষ করে তালগাছ আমাদের বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে বলে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালগাছ উঁচু হওয়ায় বজ্রপাত তালগাছের ওপর পড়ে মানুষের জানমাল রক্ষা করে থাকে। এছাড়া তালগাছের শিকড় বেশি থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তালগাছের গুণাগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক গুণ ও প্রয়োজন থাকা সত্তে¡ও তালগাছ রোপনের আগ্রহ যেন মানুষের দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাল গাছ রোপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ না বাড়লে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ তালগাছ কালের গর্ভে একদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD